বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম আসরকে সামনে রেখে সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে হয়ে গেলো প্লেয়ার্স ড্রাফট। এই আসরের জন্য ১৯৮জন স্থানীয় ক্রিকেটার ড্রাফটে জায়গা পেয়েছিলেন। সেখান থেকে সরাসরি চুক্তি ও রিটেইনের মাধ্যমে ১৭জনকে ড্রাফটের আগেই দলভুক্ত করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। বাকি ১৮১ ক্রিকেটার থেকে সাতটি দল আরও ৭২ জনকে ড্রাফট থেকে দলে ভিড়িয়েছে। মোটামুটি প্রতিষ্ঠিতরা জায়গা পেলেও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুমিনুল হক ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের মতো ক্রিকেটার বিপিএলে দল পাননি।
সোমবার রাজধানী একটি হোটেলে নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় প্লেয়ার্স ড্রাফট। আয়োজনে আগেরবারের থেকেও এলোমেলো পরিবেশের দেখা মেলে।
বিপিএলের গত আসরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শুভাগত হোম চৌধুরী। তার নেতৃত্বে দলটি খেলেছিল প্লে অফ রাউন্ডে। তবে বিস্ময়করভাবে এবার ষষ্ঠ রাউন্ডেও দল মেলেনি শুভাগতর, দল পাননি মোসাদ্দেক হোসেনও। গত আসরে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজির নেতৃত্বে শুরুতে ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের এই দুই কার্যকর অলরাউন্ডার এবার বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটেই দল পেলেন না।
এদিকে গতবারে মতো এবারও ড্রাফট থেকে দল পাননি মুমিনুল হক। বিপিএলে নিয়মিত পারফর্ম করলেও আগ্রাসী ব্যাটার সৈকত আলি থেকেছেন উপেক্ষিত। কিছুটা অবাক করে দিয়ে দল পেয়ে গেছেন মার্শাল আইয়ুব।
এর বাইরেও অনেকে দল পাননি। তাদের মধ্যে অন্যতম নাজমুল ইসলাম অপু, পেসার রুবেল হোসেন, ব্যাটার ফজলে মাহমুদ রাব্বি, পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। তবে দল না পেলেও সমস্যা নেই। পরবর্তীতে যে কোনও দল তাদের দলে ভেড়াতে পারবে। সেক্ষেত্রে পারিশ্রমিকের অঙ্ক ঠিক হবে দুই পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে।
পাঠকের মতামত